শিরোনাম: মোবাইল ফোনকে হ্যাক হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর উপায়।
আসসালামুয়ালাইকুম
মোবাইল ফোনের সুরক্ষা নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ মোবাইল ফোনে আমরা বর্তমানে আমাদের সকল তথ্য জমা রাখি যেন প্রয়োজনের ব্যবহার করতে পারি। তাই আমাদের উচিত মোবাইল ফোনের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আজকের পোস্টে আমরা জানতে পারবো মোবাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপায় সমূহ, মোবাইলে নিরাপত্ত নিশ্চিত, কি কি কারনে মোবাইল হ্যাক হয়, মোবাইল ফোন হ্যাক হলে করণীয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।
মোবাইল ফোন হ্যাকার হাত থেকে বাঁচানোর উপায়।
মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন আমাদের নিত্যদিনের ব্যবহারের একটি অতি প্রয়োজনীয় অংশ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান বিশ্ব আধুনিক হওয়ার সাথে সাথে স্মার্টফোনগুলো পাল্লা দিয়ে নানা রকম ফিচার নিয়ে আসছে। এ যেমন সুবিধা তৈরি হয়েছে। এর থেকে বড় ক্ষতিও হচ্ছে। এক সময় মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখত। তারা সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে টাকা সঞ্চয় বা উত্তোলন করত। কিন্তু আধুনিক যুগে আপনাকে ব্যাংকে যেতে হয় না আপনি আপনার স্মার্ট ফোন দিয়েই সকল কাজ করতে পারেন। এমন হাজার হাজার উদাহরণ আপনাদের সামনে রয়েছে। মোবাইল ফোন সকল সুবিধা জন্য আপনার সকল তথ্য স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করতে পারেন। আর আপনার সকল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য আপনার কিছু টিপস মনে রাখা প্রয়োজন। আমরা অনেকেই হয়তো এগুলো সম্পর্কে অবগত। আমার অনেকেই হয়তো জানি না। তাই আমরা যারা না জানি আশা করি তাদের জন্য এই টিপসগুলো অনেক উপকারে আসবে।
**প্যাসওয়ার্ড এবং প্যাটার্ন:**
মোবাইল ফোনকে সংরক্ষিত রাখার প্রাথমিক স্টেপ হচ্ছে ফোনে পাসওয়ার্ড বা প্যাটার লক ব্যবহার করা। আমরা সবাই ফোনে পাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ব্যবহার করি কিন্তু অনেকেই আছে যারা এই ঝামেলা রাখতে চায় না সমাজের জন্য তারা ফোনে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেনা এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ফোন থেকে চুরি হয়ে যেতে পারে। আপনার ফোন থেকে অন্য কেউ সহজেই তার ফোনে অনেক তথ্য নিয়ে যেতে পারে তাই এ বিষয়ে আপনার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। আপনার মোবাইল ফোনের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য স্ট্রং প্যাসওয়ার্ড বা প্যাটার্ন ব্যবহার করুন।
**ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আইডেন্টিফিকেশন:**
বর্তমানে প্রায় সব মোবাইল ফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডেন্টিফিকেশন পাওয়া যায়। তাই এই ফিচারটি যথাযথ ব্যবহার করুন। আপনার প্রয়োজনীয় এপ্স বা ডকুমেন্টে ফিঙ্গারপ্রিন্ট লক ব্যবহার করে রাখুন এতে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। মোবাইলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডেন্টিফিকেশন সক্রিয় করে রাখুন, যেটি আপনার ডিভাইসের সুরক্ষা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।
**আপডেট করুন:**
বর্তমানে আমাদের ফোন দুই ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে বেশি চলছে। একটি হচ্ছে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। অপরটি আই ও এস অপারেটিং সিস্টেম। আপনি যে ফোন দিয়ে এই পোস্টটি পড়ছেন অবশ্যই সেটি এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নয়তো iphone এর আই ও এস অপারেটিং সিস্টেম চালু আছে। সবসময় আপনার মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপস আপডেট রাখুন। এটি আপনার ডিভাইসের সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।
**অ্যাপ ইনস্টলের সময় অনুমোদন:**
আমরা আমাদের প্রয়োজনে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে নানা রকম অ্যাপস ডাউনলোড দিয়ে থাকি। এছাড়াও ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন থার্ড পার্টি অ্যাপস ডাউনলোড করে থাকি। এটার পার্টি অ্যাপস গুলো আপনার ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে পারে। তাই থার্ড পার্টি অ্যাপস ব্যবহার বন্ধ করুন প্লে স্টোর বা এপিসোড থেকে ভেরিফাইড এপ্স গুলো ব্যবহার করুন।
এবং অ্যাপস ব্যবহারের সময় অপ্রয়োজনীয় এক্সেস দিবেন না। যেমন আপনি আপনার টিকটক অ্যাপস এর জন্য আপনার কন্টাক্ট এর এক্সেস চাইলে দিবেন না। এতে আপনার তথ্য চুরি হতে পারে (উদাহরণ)
শুধুমাত্র আপনি প্রয়োজন অ্যাপস ইনস্টল করুন। এবং অপ্রয়োজনীয় ফিচারগুলোর এক্সেস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
**ব্যক্তিগত ডাটা সংরক্ষণ:**
একজন অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তির সাথে আপনার ফোনের কোন কিছু শেয়ার করবেন না। যেমন তাকে আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড বলা ফেসবুক পাসওয়ার্ড জিমেইল পাসওয়ার্ড। বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কখনোই তার সাথে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করবেন না।
ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না।
অনেক সময় বাস, ট্রেন, বাস স্টেশন, রেল স্টেশন। বা কোন দোকানে ফ্রি ওয়াইফাই দেওয়া থাকে। যত সম্ভব এগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কারণ ফ্রি ওয়াইফাই দিয়ে আপনার ফোনের নানা রকম অ্যাপসের এক্সেস নিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ,ডকুমেন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে কেন ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে অনেক কিছু হারিয়েছেন।
মোবাইল ফোন আপনার নিত্যদিনের সঙ্গে হিসেবে উপরের ধাপগুলো যদি আপনি যথাযথ অনুসরণ করতে পারেন আশা করি আপনার মোবাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
প্রিয় ভিউয়ার্স।
এমনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমাদের স্মাইল বাংলা ওয়েবসাইটের পাশেই থাকুন।
ধন্যবাদ