কিসমিস এর উপকারিতা । কিসমিসের পুষ্টিগুণ
শুকনো আঙুর বা কিসমিস আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি শুধু সুস্বাদুই নয়, বরং এর রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতাও। আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কিসমিস খাওয়ার নানা উপকারিতা নিয়ে।
কিসমিসের পুষ্টিগুণ:
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আঁশ, ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- আঁশ: কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজমশক্তি উন্নত করতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন: কিসমিসে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং কে-এর মতো বিভিন্ন ভিটামিন থাকে।
- খনিজ: কিসমিসে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা এবং জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থ থাকে।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা:
- হজমশক্তি উন্নত করে: কিসমিসের প্রচুর পরিমাণে আঁশ হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং নিয়মিত পাতলাই সহজ করে তোলে।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার LDL (খারাপ) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং HDL (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- রক্তাল্পতা দূর করে: কিসমিসে থাকা লোহা রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে। এটি রক্তে লোহের মাত্রা বাড়াতে এবং অ্যানিমিয়ার লক্ষণগুলি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
- হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো: কিসমিসে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখতে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে: কিসমিসে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে এবং চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে: কিসমিসের একটি অন্যতম প্রধান উপকারিতা হলো প্রতিদিন কিসমিস খাবার বলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। যাদের স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা রয়েছে তারা এটি প্রতিদিন খেয়ে থাকে এবং ভালো উপকার পায়।
এছাড়া কিসমিসের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ কিসমিস খাওয়া। তবে এটা মনে রাখতে হবে প্রতিটা জিনিস অতিরিক্ত খাওয়ায় ক্ষতি রয়েছে। তাই আমরা প্রতিদিন সামান্য পরিমাণ বা পরিমাণ মতো হওয়ার চেষ্টা করব।